বিরল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়

স্থাপিত ১৯৮৩

img
  স্কুল পরিচিতি
">

">

কলেজের কাজে ব্যতিব্যস্ত থাকায় অধ্যক্ষ স্কুলটির দায়িত্ব নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণের মধ্যে মোঃ মহি উদ্দীনকে, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে মোছাঃ ফারজু আরা বেগম টয়েস, মোঃ আনিসুজ্জামান মিলন,মোঃ নজরুর ইসলাম ও একজন আয়া আঞ্জুয়ারা বেগম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইতিমধ্যে স্কুলটিতে শিক্ষক ও ছাত্র সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। তাই কলেজ চত্বরে অবস্থানরত স্কুলটিতে নানা সমস্যা দেখা দেয় । ঐ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে মর্তুজা স্কুলটি কলেজের অভ্যন্তরে দক্ষিণে টিন সেটের ঘর স্থাপন করেন। পরবর্তী নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এম এ মান্নান নিজ উদ্যোগে 1993 সালে স্কুলটি উপজেলা চত্বরে কুটির শিল্প সমাজ সেবা অফিসের একটি টিনের ঘরে দপ্তর স্থাপন করে মাঠের আমগাছ তলায় ক্লাশ চলতে থাকে। প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ মহি উদ্দীন এ সময়েই প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ মান্নান এর ঐকান্ত প্রচেষ্টায় ও তৎকালীন ইউ ইউ পি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আক্কারুলের সহায়তায় বিরলের অনেক ব্যক্তি স্কুলটিকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। অনেকেই স্থায়ী ভবন নির্মানের জন্য জমি দান করেন । তাঁদের মধ্যে প্রাক্তন চেয়ারম্যান, মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরী, বাবু যুগোল চন্দ্র রায়, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ জহুরুল ইসলাম, মোঃ জহির উদ্দীন মন্ডল ও মরহুম মেহেদী উল ইসলাম, আরও অনেকে উল্লেখযোগ্য। জমি দান করার সাথে সাথেই স্কুলটির নাম পরিবর্তন করে“ বিরল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়“ নাম রাখা হয় । বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ বিদ্যালয়ের উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখে চলেছেন ।

">">

বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে তিনটি ভবনে পাঠদান কর্মরত চলছে। বিভিন্ন সময় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এবং কখনও কখনও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। বিগত সরকারের আমলে উত্তরের ভবন নির্মাণে জেলা পরিষদ প্রচুর অর্থ সহায়তা করে। পশ্চিমের ভবন নির্মাণে ওয়ার্ল্ড ভিশন, বিরল অর্থ ব্যয় করে। বর্তমান সরকারের আমলে অত্র অঞ্চলের মাননীয় সংসদ সদস্য, জনাব মোঃ খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সহযোগিতায় পূর্ব দিকে তিনতলা একাডেমী ভবনের ভিত্তি প্রস্থর উদ্বোধন করেন এবং এ বছরে তিন তলার কাজ প্রায় সমাপ্ত পর্যায়ে । প্রতিষ্ঠানটির আয়ের বড় উৎস ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন ও সরকারী অনুদান। বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক রয়েছেন 13 জন ও কর্মচারী 04 জন। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা 450 জন। বিদ্যালয়টির সুনাম ও কৃতিত্বের দাবিদার বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র-ছাত্রী । বেশীরভাগ অভিভাবক সচেতন। প্রধান শিক্ষকের কড়া শাসন, শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্টা ও গভীর আন্তরিকতা, প্রতিষ্ঠানের সুশৃংখল নিয়মকানুন সর্বপরি ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল ফলাফল করতে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা প্রতিষ্ঠানটিকে আজ বিরলে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দান করেছে। ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক মন্ডলীর এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে “বিরল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়“ দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত লাভ করতে সক্ষম হবে ।