বিরল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
স্থাপিত ১৯৮৩
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে যেমন অভাবনীয় মাটি দ্বারা সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন, তেমনি সমাজ আঙ্গিনায় মানুষকে গড়ার জন্য যোগ্য কারিগরের বিকল্প নেই। আর সেই ব্রত নিয়ে শিক্ষার আলোয় আলোকিত দেশ, জাতি তথা বিশ্ব মানবতার মুক্তির মশাল নিয়ে ১৯৮৮ সাল হতে অনবরত আলো ছড়িয়ে আসছে বিরল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, রাজনীতিবিদ ও সম্মানিত পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে সু-স্বাগতম ও অভিনন্দন। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন তথা তথ্য প্রযুক্তি ও আধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষায় সৎ, দক্ষ ও মেধাবী মানুষ তৈরীর লক্ষ্যে ও সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপন্নকে ... বাস্তবায়নের জন্য তাঁরই সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা(প্রধান মন্ত্রী) তথা শিক্ষাবিদ, মনীষি ও জ্ঞানতাপস মানুষের আকাঙ্খা পূরণে ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়তে, সোনার মানুষের দিশারী হতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সময়ের প্রয়োজনে গতানুগতিকতার বিপরীতে সৃজনশীল বাস্তবধর্মী কর্মমুখী ও আনন্দময় শিক্ষার পরিবেশ আনায়নের ব্রত নিয়ে এবং একটি ব্যতিক্রম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে আমাদের প্রিয় নেতা বিরল-বোচাগঞ্জের অভিভাবক জননেতা জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম,পি,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেত্রীবৃন্দ আকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতায় আমাদের পথ চলাকে আরও প্রশস্ত করছেন।
এমন একটা সময় ছিল যখন নকল নামক ভাইরাস এ আক্রান্ত দেশের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও সমাজ। আর তখনই তকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম মহসীন আলী ও অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান এর উদ্যোগে বিরল ডিগ্রী কলেজে ১৯৮৮ সালে যাত্রা শুরু হয় “আদর্শ শিশু বিদ্যালয় ” নামে। পরবর্তীতে অনেক সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে বিরলবাসীর উদ্যোগে ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ হয় “বিরল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়”। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বাবু সতীশ চন্দ্র রায় ও ৯ নং ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব কছিম উদ্দীন আহম্মেদ(শুকু) এদের বলিষ্ঠ ভূমিকায় ১৯৯৮সালে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক পর্যন্ত এম পি ও ভূক্ত হয়। ২০০৮ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম পি এর জোরালো ... সুপারিশের মাধ্যমে ২০০৯ সালে তিনতলা একাডেমিক ভবন পাওয়ায় নিচতলার ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন এবং আমাদের প্রাণ প্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে বিরল এলাকার উন্নয়নের কান্ডারী জননেতা জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উদ্যোগে ২০১৯ সালে তিনতলার একাডেমিক ভবনের কাজ শুরু হয়ে চলমান অবস্থায়। সুনিপুন কর্মকুশলী শিক্ষকদের তত্তাবধানে এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনায় হাজারো শিক্ষার্থী শুধু লেখা-পড়াতেই নয় শিক্ষার পাশা-পাশি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন-জাতীয় দিবস, সাংস্কৃতিক, জাতীয় সংগীত, বিজ্ঞান কুইজ, বিজ্ঞান স্টোল, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ,স্কাউটস কার্যক্রম, গণিত অলিম্পিয়াড ইত্যাদি প্রতিযোগিতায় সুনামের সাথে অংশ গ্রহণে সফলতা অর্জন করে চলছে ক্রমাগত। এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠগুলোতে যোগ্যতার সাথে লেখা-পড়া করছে এবং প্রয়োজনের তাগিদে নিজেদেরেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ পদস্থ কর্মজীবনে প্রবেশের ফলে বিরলের সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তারই ধারাবহিকতা বজায় রাখার জন্য হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য তাঁরই সুযোগ্য কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের প্রাণ প্রিয় জননেতা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পরামর্শ ক্রমে বিরল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি একটি ব্যতিক্রম ও অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে এ কামনাই করি।